
সিলেটের শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলের ‘জঙ্গি আস্তানা’য় বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে ড্রোনের ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী।
২৮ মার্চ মঙ্গলবার ড্রোনের সাহায্যে আতিয়া মহলের ভেতরের বিভিন্ন ছবি তোলা হয়। সেগুলো দেখে বিস্ফোরক শনাক্ত এবং নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযান সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর একটি সূত্র একথা জানিয়েছে।
জানা গেছে, সেনাবাহিনীর নিজস্ব ড্রোন থাকলেও তারা সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বানানো ড্রোন এ কাজে ব্যবহার করছে। বাড়ির ভেতরে কোথায় বিস্ফোরক রয়েছে তা খুঁজে বের করতে এবং শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোন ছাড়াও বিস্ফোরক শনাক্ত করতে অন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী আগেই জানিয়েছে, বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক রয়েছে। তাই তাদের সাবধানে অভিযান চালাতে গিয়ে সময় বেশি লাগছে।
এদিকে, পঞ্চম দিনের আতিয়া মহলে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন সেনাবাহিনীর কমান্ডো টিম। দুপুরে সেখান থেকে চারটি বিস্ফোরকের শব্দ শোনা গেছে।
২৭ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী এক ব্রিফিংয়ে জানায়, আতিয়া মহলের ভেতরে থাকা চার জঙ্গি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।
২৮ মার্চ মঙ্গলবার কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন আতিয়া মহলের নিহত চার জঙ্গির মধ্যে একজন মুসা ।
উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ভবনটি প্রথম ঘেরাও করে পুলিশ। ২৪ মার্চ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা থেকে মহানগর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াত অভিযান চালাতে সিলেটে আসে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত সোয়াত অভিযান চালায়নি। শুক্রবার সন্ধ্যার পর সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সারারাত ঘিরে রাখার পর ২৫ মার্চ শনিবার সকাল থেকে ‘জঙ্গি আস্তানা’ আতিয়া মহলে ‘অপারেশন টোয়াইলাইটে’র অভিযান শুরু করে কমান্ডোর দলটি ।
0 comments:
Post a Comment